ইকবাল খান: [২] সাংবাদিকতায় সাহসী ভূমিকা পালন করার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মাহা হুসেনি। কিন্তু পুরস্কারপ্রাপকদের নাম ঘোষণা করে দেওয়ার পরে একটি বিবৃতি দিয়ে মার্কিন সাংবাদিকদের সংগঠনটি জানাল, মাহা’র পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

[৩] সংগঠনটির এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে, যে কোনও মার্কিন সংগঠনই কি এখন ইসরায়েলপন্থীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত?

[৪] আনন্দবাজার আরও জানায়, ইসরায়েল-গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন করেছেন মাহা। তাতে কখনও তুলে ধরা হয়েছে, কী ভাবে গাজার হাসপাতালগুলির করুণ অবস্থার জন্য মহিলারা বাড়িতেই সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। 

[৫] মাহা’র করা প্রতিবেদনগুলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন আদালতে মামলা করার সময়ে ব্যবহার করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

[৬] ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নানা ছবি সাহসের সঙ্গে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য গত ১০ জুন ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন’ (আইউব্লিউএমএফ) মাহাসহ মোট তিন জনের নাম ‘কারেজ ইন জার্নালিজম’ অর্থাৎ সাংবাদিকতায় সাহসিকতার পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করেছিল। 

[৭] কিন্তু ১৯ জুন তারা একটি বিবৃতিতে জানায় ‘গত কয়েক বছরে মাহা হুসেনি এমন নানা মন্তব্য করেছেন যা আমাদের সংস্থার নীতি-বিরুদ্ধ। তাই পুরস্কারপ্রাপক হিসেবে তাঁর নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হল’।

[৮] সূত্রের খবর, ‘কারেজ ইন জার্নালিজম’ পুরস্কারের জন্য মাহার নাম ঘোষণা করার পর থেকেই মার্কিন বহু কট্টরপন্থী দল ও প্রকাশনা সংস্থা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাঁর কিছু মন্তব্য প্রকাশ্যে এনে তাঁকে হামাসের সমব্যথী বলে কটাক্ষও করা হয়।

[৯] এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে সামাজিক মাধ্যম  এক্সে মাহা লেখেন, ‘সাহসিকতার জন্য পুরস্কার জেতার অর্থ নানা ধরনের আক্রমণের সম্মুখীন হওয়া এবং এই সব কিছুর মাঝেও নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া। তবে, যে সংস্থা আমায় সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করল, তারাই আবার চাপের মুখে তাদের সাহসী সিদ্ধান্ত বদল করল।’